Thursday, June 30, 2022

হ‌জ্জে গিয়ে কু‌ড়ি‌য়ে পাওয়া ৭ লক্ষ ফ্রাংক মা‌লিক‌কে ফেরৎ দি‌লেন বাংলা‌দে‌শের আব্দুর রহমান

 


অনলাইন ডেস্ক : হজ্জ কর‌তে যে‌য়ে ঢাকার ডেমরার আব্দুর রহমান প্রধান গত সোমবার মদীনা শরী‌ফে এক‌টি বৈ‌দে‌শিক মুদ্রার বা‌ন্ডিল কু‌ঁড়ি‌য়ে পান। যেগু‌লো ছি‌লো আফ্রিকার দেশ বুরকিনা ফা‌সোর মুদ্রা ফ্রাংক। তি‌নি হি‌সেব ক‌রে দে‌খেন সেখা‌নে ৭ লক্ষ ফ্রাংক র‌য়ে‌ছে। 

তারপ‌রে আব্দুর রহমান "সাম আফ্রিকান ফ্রাংক ফাউন্ড" অর্থাৎ কিছু আফ্রিকান ফ্রাংক পাওয়া গি‌য়ে‌ছে লেখা কাগজ হা‌তে মস‌জি‌দে নববীর আশেপা‌শে কু‌ড়ি‌য়ে পাওয়া ফ্রাংকগুলোর প্রকৃত মা‌লিক‌কে খোঁজ কর‌তে থা‌কেন। এ‌দি‌কে ফ্রাংকগু‌লো হা‌রি‌য়ে হজ্জ কর‌তে আসা আফ্রিকান ব‌্যক্তি‌টিও তার হারা‌নো অ‌র্থের খোঁজ কর‌তে থা‌কেন। গতকাল তি‌নি আব্দুর রহমান‌কে "সাম আফ্রিকান ফ্রাংক ফাউন্ড" লেখা কাগজ হা‌তে দাঁ‌ড়ি‌য়ে থাক‌তে দে‌খে প্রমাণ ক‌রেন যে, তি‌নিই সেই ফ্রাংকগুলোর প্রকৃত মা‌লিক‌।

আব্দুর রহমান‌ প্রমাণ পে‌য়ে সেই ফ্রাং‌কের বা‌ন্ডিল তার প্রকৃত মা‌লি‌কের হা‌তে তু‌লে দেন। নি‌জের হা‌রি‌য়ে যাওয়া অ‌র্থ ঠিকভা‌বে ফি‌রে পে‌য়ে সেই আফ্রিকান ব‌্যক্তি আন‌ন্দের আতিশয্যে আব্দুর রহমান‌কে জড়ি‌য়ে ধ‌রেন।

আশুলিয়ায় কেক কেটে গ্লোবাল টেলিভিশনের শুভযাত্রা উৎযাপন(ভিডিও সহ)

 

নিজস্ব প্রতিনিধি:

দেশের ৩৮তম স্যাটেলাইট চ্যানেল গ্লোবাল টেলিভিশনের পূনাঙ্গ সম্প্রচার ও উদ্বোধন উপলক্ষে আশুলিয়ায় কেক কেটে শুভ সূচনা করা হয়েছে।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া রিপোর্টার্স ক্লাবের আহবায়ক কামাল হোসেন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক আল শাহরিয়ার বাবুল খান,নূর হোসেন, সফিকুল ইসলাম, সায়েম সরকার, ওবায়দুল হক রিপন মিয়া, নদী, মাসুদ রানা, রিপন মিয়া(২), হোসেন মাহমুদ, সোহেল রানা ও সাজ্জাদ হোসেন সহ অন্যানো সাংবাদিক বৃন্দ। 

বৈরি আবহাওয়া কে  উপেক্ষা করে গ্লোবাল টেলিভিশনের  আশুলিয়া প্রতিনিধি মাসুদ রানার আহবানে  বৃহস্পতিবার বিকেলে আশুলিয়ার বলিভদ্র বাজারে কেক কাটা অনুষ্ঠানটি সম্পন্ন করা হয়। 

এ সময় আগত সাংবাদিকবৃন্দ গ্লোবাল টেলিভিশনের উত্তর উত্তর সমৃদ্ধি কামনা করেন।

বিস্তুারিত দেখতে নিচের  ভিডিওতে ক্লিক করুন,,,,,, 


Wednesday, June 29, 2022

অবশেষে আনুষ্ঠানিক সম্প্রচারে 'গ্লোবাল টিভি'

 


নিজস্ব প্রতিনিধি : ‘বিশ্বময় প্রতিদিন’ স্লোগান নিয়ে পূর্ণাঙ্গ ও বাণিজ্যিক সম্প্রচারে আসছে বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল ‘গ্লোবাল টেলিভিশন’। দীর্ঘদিন পরীক্ষামূলক সম্প্রচারে থাকার পর বৃহস্পতিবার (৩০ জুন) থেকে পূর্ণাঙ্গ সম্প্রচারে আসছে দেশের ৩৮তম এই টেলিভিশন চ্যানেলটি।  

ইতিমধ্যে এ বিষয়ে সকল প্রস্তুতি নিয়েছে দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রতিষ্ঠান গ্লোব ফার্মা গ্রুপের মালিকানাধীন টিভি স্টেশন সংশ্লিষ্টরা। বিকেল ৫টায় সংবাদ সম্প্রচারের মাধ্যমে চ্যানেলটি আনুষ্ঠানিকতা শুরু করতে যাচ্ছে। 

বর্তমানে তেজগাঁও শিল্প এলাকায় নিজস্ব ভবনে টেলিভিশনটির কার্যক্রম চলছে। সংবাদ এবং অনুষ্ঠানে মূলত বাঙালি সংস্কৃতি প্রতিফলনের প্রত্যয় নিয়ে গ্লোবাল টেলিভিশনের আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু হচ্ছে।  সম্প্রচারের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা হচ্ছে সর্বাধুনিক এইচডি প্রযুক্তি।

গ্লোব ফার্মাসিউটিক্যালস গ্রুপ অব কোম্পানিজ লিমিটেড’র সহযোগী প্রতিষ্ঠান গ্লোব মাল্টিমিডিয়া লিমিটেড। 

গ্লোবাল টেলিভিশনের মালিক নোয়াখালী-৩ আসনের সংসদ সদস্য (এমপি) মো. মামুনুর রশীদ কিরণ। গ্লোব ফার্মা গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. হারুনুর রশিদ ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আহমেদ হোসেন। 

গ্লোবাল টিভির প্রধান নির্বাহী (সিইও) ও প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, প্রধান বার্তা সম্পাদক মনজুরুল আলম পান্না, অ্যাসাইনমেন্ট এডিটর অ্যান্ড ক্রাইম চীফ আনিসুর রহমান সাব্বির , নিউজ এডিটর মাহতাব শফি ও শান্তনু চৌধুরী।


সংবাদ ও অনুষ্ঠান সম্প্রচারে স্বকীয়তা অর্জন ও কথিত টিআরপি'র বাইরে গিয়ে সত্যিকার অর্থে দর্শকপ্রিয় টিভি চ্যানেল হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে  এ প্রত্যয় ব্যাক্ত করেন চ্যানেলটির কলা কৌশলীরা 

প্রধান মন্ত্রী সারা দেশে এক যোগে ২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারি করন করেছেন ------- মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী



গাজীপুর প্রতিনিধি :   মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আলহাজ এ্যাড. আ ক ম মোজাম্মেল হক (এমপি) বলেছেন, প্রাথমিক বিদ্যালয় হচ্ছে মুল শিক্ষার ভীত। কিন্তু জিয়া, এরশাদ ও খালেদা জিয়া সরকারের আমলে মাত্র ১ হাজারও প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করণ করেনি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সারা দেশে এক যোগে ২৬ হাজারের বেশি প্রাথমিক বিদ্যালয় সরকারী করণ করেছে। আজকে শিক্ষার মান এতো উন্নত, সেটা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অবদান।

তিনি বুধবার দুপুরে গাজীপুরের কালিয়াকৈরে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত শিক্ষকগণের অনলাইন শিক্ষক বদলি কার্যক্রম পাইলটিং এর উদ্বোধন অনুষ্টানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন। গাজীপুর জেলা প্রশাসক আনিসুর রহমানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মোঃ জাকির হোসেন (এমপি), ওই মন্ত্রণালয়ের  সিনিয়র সচিব মোঃ আমিনুল ইসলাম খান, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব)  মোঃ মুহিবুর রহমান, কালিয়াকৈর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান কামাল উদ্দিন সিকদার, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তাজওয়ার আকরাম সাকাপি ইবনে সাজ্জাদ, উপজেলা অফিসার শিক্ষা কর্মকর্তা রমিতা ইসলাম, উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জায়েদা নাসরিনসহ মন্ত্রণালয়, প্রাথমিক শিক্ষা  অধিদপ্তর, উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলা শিক্ষা অফিসের উর্দ্ধতন কর্মকর্তা-কর্মচারী ও শিক্ষক বৃন্দ। 

শিক্ষকদের উদ্দেশ্যে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী বলেন, শিক্ষকতা একটি মহান পেশা। সে পেশার প্রতি সম্মান আপনারা ছেলে মেয়েদের গড়ে তোলুন। বাবা-মায়ের কথার চেয়ে তাদের শিক্ষকের গুরুত্ব বেশি দেয় ছেলে-মেয়েরা। তাই আপনারা শিক্ষকরা সে ভাবে শিক্ষার্থীদের গড়ে তোলুন ও আপনাদের দেশ প্রেম, সততা দিয়ে শিশু ছেলে-মেয়েদের গড়ে তোলুন। 

অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন এমপি বলেছেন, স্বাধীন জাতিকে উন্নত জাতিতে রূপান্তরিত করতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই। স্বাধীনতার পর এই ভঙ্গ অর্থনীতিক পোড়াবাড়ি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে ঘর ছিল না, বাড়ি ছিল না, স্কুল ছিল না। সেই মুহূর্তে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু তিন হাজার ৬০০ স্কুল এক সাথে সরকারি করণ করে দিয়েছিলেন। 

তিনি আরো বলেন, শিক্ষক-শিক্ষিকা বদলি প্রক্রিয়ায় যাতে হয়রানির শিকার না হয়, সেজন্য এই অনলাইন শিক্ষক বদলি কার্যক্রম পাইলটিং এর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ কার্যক্রমের মাধ্যমে অনলাইনে আবেদন, অনলাইনেই নিষ্পত্তি ও থাকবে না আর বদলি ভোগান্তি। শিক্ষকদের বদলি হওয়ার জন্য কোথাও ঘুরাঘুরি করতে হবে না। যোগ্যতা থাকলে এ কার্যক্রমের মাধ্যমে ঘরে বসেই বদলি হওয়া যাবে।

শিক্ষক স্বল্পতার বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, শিক্ষক স্বল্পতা দুর করাসহ তাদের বিভিন্ন সমস্যাও দুর করা হবে। অনলাইনে প্রশিক্ষণের মাধ্যমে শিক্ষকদের আরে দক্ষভাবে গড়ে তোলা হচ্ছে।  শিক্ষকদের চাকরি অনেক সুন্দর চাকরি। শিক্ষা দেয়ার পাশাপাশি তারা ব্যবসা, রাজনীতিসহ বিভিন্ন কাজ করতে পারে। সমাজেও তাদের একটা অন্যরকম মুল্যায়ন আছে। সে জন্য তাঁরাই সুষ্ঠ সুন্দর সমাজ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখতে পারে।

Tuesday, June 28, 2022

কালিয়াকৈরে বিদ্যুতের ঘনঘন লোডশেডিং জন-জীবন অতিষ্ট



হুমায়ুন কবির, গাজীপুর প্রতিনিধি : সরকারের হিসাব মতে দেশে বিদ্যুতের ঘাটতি না থাকলেও গাজীপুরের কালিয়াকৈরে নিয়মিত ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে অতিষ্ট ও তীব্র যন্ত্রনায় বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে স্থানীয় জনজীবন। বিদ্যুতের যাওয়া-আসার এমন খেলায় চরম বিপাকে পড়েছেন  পোল্ট্রি ও গরুর খামারী এবং শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এর প্রভাব পড়ছে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গুলোতেও। স্থানীয়দের অভিযোগ, অর্থের বিনিময়ে এক পাশের বিদ্যুৎ বন্ধ রেখে অন্য পাশে চালু রাখায় ঘনঘন এ লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হচ্ছে।

এলাকাবাসী ও পল্লীবিদ্যুৎ অফিস সূত্রে জানা গেছে, ঢাকা পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি-১ এর আওতায় কালিয়াকৈর উপজেলায় কালিয়াকৈর, চন্দ্রা ও মৌচাক নামে তিনটি জোনাল অফিস রয়েছে। কালিয়াকৈরকে শতভাগ বিদ্যুতায়ন উপজেলা হিসেবে ঘোষণা করা হলেও এখনো বিদ্যুৎ পৌছায়নি অনেক বাড়িতে। এ বর্ষা মৌসুমে সেচ প্রকল্পের আওতায় প্রায় শতভাগ সেচ পাম্প বন্ধ থাকলেও এখানে বিদ্যুতের ঘাটতি যেন উল্টো বেড়েছে। নিয়মিত দেওয়া হচ্ছে ঘনঘন লোডশেডিং। মাঝে মধ্যেই সকাল হতে না হতেই শুরু হয় লোডশেডিং। কখনো কখনো নোটিশ ও মাইকিং ছাড়াই দেওয়া হচ্ছে বিদ্যুতের লোডশেডিং। এতে চরম দূর্ভোগে পড়ছেন মানুষ। এছাড়াও আকাশে মেঘের কালো ছায়া  দেখা দিলে বা সামান্য বৃষ্টি হলেই বিদ্যুৎ থাকে না। মেঘ সরে গেলে ও বৃষ্টি চলে গেলেও ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুতের মুখ দেখা যায় না। নিয়মিত ঘনঘন লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে অতিষ্ট ও তীব্র যন্ত্রনায় বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জনজীবন। বিদ্যুতের যাওয়া-আসার এমন খেলায় চরম বিপাকে পড়েছেন  বিভিন্ন এলাকার পোল্ট্রি ও গরুর খামারী এবং শপিংমলসহ বিভিন্ন ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান। এর প্রভাব পড়ছে শিল্প-প্রতিষ্ঠান গুলোতেও। সবচেয়ে বেশি দুর্ভোগে পড়েছেন শিশু, বৃদ্ধ, শিক্ষার্থী ও রোগীরা। নিয়মিত বিদ্যুতের এমন লুকোচুরি খেলার বিষয়ে ফোন দিলে বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন গ্রাহকদের সাথে  দুর্ব্যবহার করে বলেও অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, পল্লীবিদ্যুৎ  অফিসের কর্মকর্তাদের উদাসিনতার কারণে এমন ঘনঘন লোডশেডিংয়ের সৃষ্টি হচ্ছে। তবে সাজানো ও কথিত বিদ্যুৎ বিতরণ ও স ালনের লাইনে ক্রুটির কথা জানিয়ে কোনো রকমে দায় এড়িয়ে যাচ্ছে পল্লীবিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। দীর্ঘদিন ধরে এমন লোডশেডিং হলেও কোনো সুরাহার ব্যবস্থা নিচ্ছে না বিদ্যুৎ বিভাগের সংশ্লিষ্টরা।

আবাসিক এলাকার ভাড়াটে এক পোশাক কারখানার সিনিয়র অফিসার  ওয়াহিদুজ্জামান এবং চান্দরা এলাকার সেকান্দার আলীসহ অনেকেই বলেন, এ উপজেলায় চাহিদা অনুযায়ী বিদ্যুৎ সরবরাহ হচ্ছে। তারপরও প্রতিদিন বার বার লোডশেডিং হচ্ছে। এতে করে ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা বিঘিœত হচ্ছে। তাছাড়া সপিংমলসহ ব্যবসায়ীদের যেন দূর্ভোগ আর ভোগান্তির শেষ নেই। 

কালিয়াকৈর জোনাল অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোঃ মিজানুর রহমান জানান, গ্যাসের সংকটের কারণে বিদ্যুৎ উৎপাদনে ব্যাহত হচ্ছে। এছাড়াও গরমের কারণে বিদ্যুতের চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় কখনো কখনো ব্যারেল পড়ে যায়। এসব কারণে বিদ্যুতের এমন সমস্যা হচ্ছে। 

লোডশেডিংয়ের বিষয়টি অস্বীকার করে চান্দরা পল্লীবিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোঃ কামাল হোসেন জানান, বিভিন্ন এলাকায় লাইন মেরামতের কাজ যখন করা হয়, তখন ওই এলাকার বিদ্যুৎ লাইন সাময়িকের জন্য বন্ধ রাখা হয়। 

Friday, June 24, 2022

কালিয়াকৈরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান



হুমায়ুন কবির, কালিয়াকৈর (গাজীপুর)  :  গাজীপুরের কালিয়াকৈরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৫২টি পরিবারের মাঝে আর্থিক অনুদান প্রদান করেছে কালিয়াকৈর পৌরসভা। গতকাল শুক্রবার সকালে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের পশ্চিম চান্দরা হাজিবাড়ি এলাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে এ অনুদান প্রদান করেন পৌর মেয়র মজিবুর রহমান।

ওই আর্থিক প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কালিয়াকৈর পৌরসভার মেয়র মোঃ মজিবুর রহমান। ওই এলাকার বিশিষ্ট সমাজ সেবক ফারুক হোসেনের স ালনায় অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন- ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও প্যানেল মেয়র খাত্তাব মোল্লা, ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সাইফুল ইসলাম, ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সংরক্ষিত  কাউন্সিলর নাজমা বেগমসহ অনেকে। এসময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের লোকজন। পরে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ কলোনির ৫০টি ভাড়াটে পরিবারকে ৫ হাজার টাকা করে এবং দুই কলোনির দুই মালিককে ১০ হাজার টাকা করে মোট ২ লাখ ৭০ হাজার টাকা অনুদান প্রদান করা হয়।

এর আগে গত ১৮ জুন সকালে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে হাজিবাড়ি এলাকার আব্দুল কাদের ও আব্দুল সামাদের দুটি কলোনিতে অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।

Wednesday, June 22, 2022

টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুলের বিরুদ্ধে এইচএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ

 




নিজস্ব প্রতিনিধি(সাভার): এইচএসসি পরীক্ষায় অতিরিক্ত ফি আদায়ের অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের বিরুদ্ধে। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ বলেন, ‘আপনারা নিউজ করবেন, নিউজ করেন গিয়ে। এতো প্যাচানোর দরকার নেই। এরপরে আমার কাছে যারা টাকা খায় আমি তাদের সঙ্গে বুঝবো।’

এ ধরনের উত্তরে উপস্থিত সংবাদকর্মীরা অবাক হয়ে যান। তিনি উচ্চস্বরে সবাইকে বোঝাতে থাকেন যে, শিক্ষা অফিসার ও সাংবাদিকরা তার কাছ থেকে টাকা নেয়। তিনি এভাবেই সব ম্যানেজ করে থাকেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা জানান, ২০২২ শিক্ষা বর্ষের এইচএসসি পরীক্ষায় ফরম ফিলাপ ফি আনুষঙ্গিক খরচসহ বোর্ড নির্ধারণ করে দিয়েছে। এরমধ্যে মানবিক ১৭৭০ টাকা, ব্যবসায়িক শাখা ১৭৭০ টাকা, বিজ্ঞান ২৩৩০ টাকা করে নেয়ার নিয়ম রয়েছে। অথচ টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজে ঘোষণা দেয়া হয় সর্বসাকুল্যে ৮ থেকে ১০ হাজার টাকা লাগবে ফরম ফিলাপ করতে।

হঠাৎ করে কলেজের এ ধরনের ঘোষণায় শিক্ষার্থীরা বিপাকে রয়েছে। ফরম ফিলাপের ফি কমাতে বললেও কলেজ কর্তৃপক্ষ সেদিকে কর্ণপাত করেনি। যে কারণে রশিদের মাধ্যমে অতিরিক্ত টাকা আদায় করছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ।

মানবিক শাখার নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থীর সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, স্যারকে বলেছি কিছু টাকা কমানোর জন্য। কিন্তু স্যার বলেন, এইটা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান আমি যা বলব তাই হবে। কোন টাকা কম হবে না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক শিক্ষার্থী বলেন যে, কলেজ নির্ধারিত এই টাকা নাকি বাধ্যতামূলক। এ টাকা দিতেই হবে, না দিলে ফরম ফিলাপ করা হবে না।

এ সময় শিক্ষার্থীরা আরও অভিযোগ করে বলেন, টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ ফরম ফিলাপের ব্যাপারে বলেছেন, কোনো ছাড়া ছাড়ি নেই, দিতেই হবে এই টাকা।

টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের নিচতলায় অফিস কক্ষে এই প্রতিবেদক শিক্ষার্থীর অভিভাবক সেজে কর্তব্যরতদের ফরম ফিলাপের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলে তারা জানান, মানবিক ও ব্যবসায় শিক্ষা শাখায় ৮ হাজার এবং বিজ্ঞানে সাড়ে ৮ হাজার টাকা ফরম ফিলাপের জন্য দিতে হবে। কি কারণে এই অতিরিক্ত টাকা দিতে হবে তার কোন সঠিক উত্তর দিতে পারেন নি কর্তব্যরতরা।

এ ব্যাপারে কয়েকজন সংবাদকর্মীরা সাক্ষাৎকার নিতে গেলে টাঙ্গাইল রেসিডেনসিয়াল স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল লতিফ তাদের উপর চড়াও হন এবং অশালীণ আচরণ করেন। এর আগেও নাকি এই প্রতিষ্ঠানে সাংবাদিক হয়রানীর মত ঘটনা ঘটেছে বলে জানান অনেক সংবাদকর্মী। স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা ও সরকারি অফিসারদের নাকি ম্যানেজ করে চলেন আব্দুল লতিফ। এ জন্য বারবার অনিয়ম করলেও তারা শিক্ষার নামে চুটিয়ে ব্যবসা করে আসছেন।

এমন অভিযোগও করেন সচেতন অভিভাবকরা।

আব্দুল লতিফ আরও জানান, শিক্ষা অফিসার ও সাংবাদিকদের তিনি লালন-পালন করেন। তিনি অনিয়ম করলেও বলার কেউ নেই। তার কাছে সবাই টাকা নেয়। তিনিও টাকা দিয়ে এগুলো ম্যানেজ করে রাখেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

এদিকে এ বিষয়ে সাভার উপজেলা শিক্ষা অফিসার কামরুন নাহার বলেন, প্রতিটি কলেজে অতিরিক্ত ফি না নিতে চিঠি দিয়ে অবগত করা হয়েছে। এরপরেও কেউ অতিরিক্ত ফি নিলে সাভার উপজেলা নির্বাহী অফিসারের জানাতে পরামর্শ দেন তিনি।

সচেতন অভিভাকরা জানান,সরকারের শিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং উপজেলা শিক্ষা অফিসারের তদারকির অভাবে প্রতিবছরই এ ধরনের ঘটনা ঘটছে। কিন্তু সমাধান মিলছে না। আইন বা ঘোষণা শুধু টিঠিতেই সীমাবদ্ধ রয়ে যায়। বাস্তবে কোন স্কুল বা কলেজে গিয়ে কর্তৃপক্ষকে ব্যবস্থা নিতে দেখেনি কেউ।

Tuesday, June 21, 2022

৩১ বছর পর পালাতক মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামী গ্রেপ্তার



নিজস্ব প্রতিবেদকঃ মানিকগঞ্জ সদর এলাকার আজাহার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. কাওছারকে ৩১ বছর পর গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)।

রোববার (১৯ জুন) দিবাগত রাতে গুলশান থানার বারিধারা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪। সোমবার (২০ জুন) র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান র‌্যাব-৪ এর অধিনায়ক (সিও) ডিআইজি মো. মোজাম্মেল হক।


তিনি বলেন, শনিবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে আজাহার হত্যা মামলার মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি মো. কাওছারকে ৩১ বছর পর গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৪ এর একটি টিম।

আজাহার হত্যা মামলার সূত্রে ও গ্রেপ্তার আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে তিনি বলেন, ভিকটিম আজাহার (৪০) ও গ্রেপ্তার কাওছার (৬৩) মানিকগঞ্জের চর হিজুলো গ্রামের বাসিন্দা। তারা এলাকায় একসঙ্গে ইরি ধানের ক্ষেতে পানি সেচ করত। একসঙ্গে কাজ করার সুবাদে তাদের মধ্যে সুসম্পর্ক গড়ে উঠে। একে অপরের বাড়িতে তাদের অবাধে যাতায়াতে ছিল। এরই মধ্যে ভিকটিমের বিবাহিত বোন অবলার সঙ্গে কাওছারের পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই সম্পর্ককে কেন্দ্র করে ভিকটিম ও কাওছারের মধ্যে ঝগড়া হয় এবং তাদের সম্পর্কের অবনতি ঘটে। এই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে ১৯৯১ সালের ১৪ জুন আজাহারকে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে কাওছার ও তার সহযোগীরা। একই দিনে ভিকটিমের ভাই কাওছারসহ সাত জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয় মানিকগঞ্জ থানায়।

তিনি আরও বলেন, মামলা হওয়ার পর কাওছারসহ আরও কয়েকজন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর দুই মাস হাজত বাসের পর ১৯৯১ সালে জামিনে বের হয়ে আত্মগোপনে চলে যায় কাওছার। এরই মধ্যে ১৯৯১ সালের ডিসেম্বর মাসে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি মো. কাওছার, ওমর, রুহুল আমিন, আসমান ও রফিজকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১৯৯২ সালে মানিকগঞ্জ জেলার বিজ্ঞ জেলা ও দায়রা জজ এই মামলায় কাওছারকে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেন।

অপর আসামি ওমর, রুহুল আমিন, আসমান ও রফিজ প্রত্যেককে যাবজ্জীবন সাজা প্রদান করেন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা পাঁচ বছর সাজাভোগের পরে উচ্চ আদালতে আপিল করে বর্তমান আদালতের নির্দেশে জামিনে আছে। আর মো. কাওছার মামলা বিচারাধীন থাকা অবস্থায় দুই মাস হাজতে থেকে জামিনে বের হওয়ার পর থেকেই গত ৩১ বছর পলাতক ছিল। ১৯৯১ সালের পর থেকে কাওছার আর মানিকগঞ্জে যায়নি।

মো. মোজাম্মেল হক বলেন, কাওছার মৃত্যুদণ্ড সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় গ্রেপ্তার এড়ানোর লক্ষ্যে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান। পরিচিত লোকজন থেকে নিজেকে আড়াল করে রাখার জন্য ১৯৯১ সালের শেষ দিকে ঢাকায় চলে আসে। গত ৩১ বছর ধরে আসামি মো. কাওছার নাম পরিবর্তন করে ইমরান মাহামুদ নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন ছদ্মবেশ ধারণ করে। প্রথমে গাজীপুর, কালিয়াকৈর, পূবাইল, উত্তরা, টঙ্গীসহ ঢাকা মহানগরীর বিভিন্ন এলাকায় আত্মগোপনে ছিল। আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় আসামি নিজের পরিচয় গোপন করার জন্য ক্রমাগতভাবে পেশা পরিবর্তন করে। প্রথমদিকে সে রাজমিস্ত্রি, ইলেকট্রিক, স্যানিটারি মিস্ত্রী হিসেবে কাজ করে। পরে সে ড্রাইভিং শিখে সিএনজি চালায় এবং বর্তমানে সে প্রাইভেটকারের চালক হিসেবে আত্মগোপনে থেকে গাড়ি চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে আসছিল।


কাওছার পালিয়ে ঢাকায় চলে আসার পর নিজেকে আড়াল করার জন্য মো. ইমরান মাহামুদ নাম ধারণ করে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে। জাতীয় পরিচয়পত্রে পিতা- শাহিন মাহামুদ, সাং- নান্দুয়াইন, থানা- গাজীপুর, জেলা- গাজীপুর’কে বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা হিসেবে ব্যবহার করে। গ্রেপ্তার আসামিকে সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলেও জানান র‌্যাবের এ কর্মকর্তা।

Monday, June 20, 2022

সার্ভেয়ার ও কানুনগো'র হাতে জিম্মি: আশুলিয়া এসিল্যান্ড অফিস!

 


নিজস্ব প্রতিবেদক, আশুলিয়া : নানান অনিয়ম, দুর্নীতি, ঘুষনীতি, একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার ও নিজস্ব সিন্ডিকেট গড়ে তোলার খবর পাওয়া গেছে ঢাকা আশুলিয়ার এসিল্যান্ডে কর্তব্যরত এক সার্ভেয়ার ও ভারপ্রাপ্ত কানুনগো’র বিরুদ্ধে। প্রায় নয় মাস আগে এই দু’জন অফিসার ঢাকা ডিসি অফিস থেকে বদলিপ্রাপ্ত হয়ে আশুলিয়া এসিল্যান্ডে একজন সার্ভেয়ার ও আরেকজন ভারপ্রাপ্ত কানুনগো হিসাবে কাজে যোগ দেন। বিভিন্ন মাধ্যমে জানা যায়Ñ যোগদানের পর থেকেই সার্ভেয়ার মো. আবু বক্কর সিদ্দিক চৌধুরী ও সার্ভেয়ার মোহাম্মদ শাখাওয়াত হোসেন সরকার (কানুনগো ভারপ্রাপ্ত) বর্তমান এসিল্যান্ড’র ভালো মানুষী ও সহজ সরলতার সুযোগ নিয়ে নিজস্ব সিন্ডিকেট, একক সেচ্চাচারীতা ও সর্বোচ্চহারে ঘুষ আদায়ের এক পৈচাশিক আবাসস্থল গড়ে তুলেছেন। টাকা ছাড়া এই দু’জনের কাছে থেকে সেবা না পাওয়া ভূমি জোতদারদের ভাষ্যমতেÑ আশুলিয়া এসিল্যান্ডের সার্ভেয়ার ও কানুনগো যেন মহাক্ষুধার্ত রাঁজহাস!


বিগত সাত আট বছরের মধ্যে আশুলিয়া এসিল্যান্ড অফিসে এরকম সিন্ডিকেটধারী, দুর্নীতিবাজ, ঘুষখেঁকো অফিসার আশুলিয়াবাসী আগে কখনো দেখেনি! তারা নগদ টাকা পেলে কাজ করে, টাকা না পেলে নানান অযুহাত এনে নির্ভেজাল কাজও ভূমি সহকারী কমিশনার বরাবর না মঞ্জুরের সুপারিশ করে পাঠায়। ভূমি অফিসের দুজন সিনিয়র ব্যক্তি’র (সার্ভেয়ার ও কানুনগো) মাধ্যমে যখন কোনো নামজারি নথি এসিল্যান্ড বরাবর না মঞ্জুরের সুপারিশ করা হয়, তখন ভূমি সহকারী কমিশনার মহাদয়ের আর কিছুই করার থাকে না। কমিশনার সাহেবও তখন তাদের তালে তাল মিলিয়ে সাক্ষর করেনÑ সার্ভেয়ার ও কানুনগো’র ভাষ্যমতে নামজারি ও জমাভাগের কেইসটি না মঞ্জুর করা হলো! এই যদি হয় ভূমি সেবা! মানুষ যাবে কোথায়? আশুলিয়া এসিল্যান্ড অফিসে সেবা নিতে আসা অসহায় ভূমি মালিকদের মুখে মুখে শোনা যায়Ñ ‘অত্র অফিসের ঘুষখোর দুটো প্রাণির নাম সার্ভেয়ার ও কানুনগো!’


নামজারি নথি বা কেইস বাতিল করে যেন ভবিষ্যতে কোনো জবাবদিহির মখোমুখি না হতে হয় তারও বহু কৌশল তাদের নিজস্ব ফরমেটে তৈরি করা আছে। একটা নির্ভেজাল কাজে তাদের চাহিদা মতো টাকা না পেলে নামজারি বাতিলের সুপারিশ এমনÑ‘মূল কাগজপত্র বা দলিল প্রদর্শন না করায় অত্র নামজারি না মঞ্জুর করা যেতে পারে’! অথচ, তাদের সিন্ডিকেট বাহিনির বেলায় এ ধরনের কোনো অযুহাত নেই এবং সারাদিনে দু চারটি মূল দলিল বা মূল কাগজ দেখেছে এরকম নজির খুবই কম। আবার হয়তো কারো কারও নামজারি নথিতে মনগড়াভাবে লিখে রাখেÑ নকশা, পেন্টা লাগবে বিধায় না মঞ্জুরের সুপারিশ! আবেদনকারী নিজে উপস্থিত না থাকায়; না মঞ্জুরের সুপারিশ! অথবা দলিল দাতার/গ্রহিতার বাবার/মায়ের নামের এক অক্ষর ভুল বা এ-কার নাই, আ-কার নাই বা ও-কার নাই, এইসব নিয়েও না মঞ্জুরের সুপারিশ! ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট ছয় থেকে এক বছরের পুরোনো হলেই তারা সরকারি নির্দেশনা দেখাবে যে- চলবে না, নিম্নতম তিন মাসের আপডেট লাগবে। সাধারণ পাবলিকের কাজে এরকম আপডেট কাগজ না থাকলেও নামজারি বাতিলের সুপারিশ করা হয়! অথচ, এমনও খারিজ ডেলিভারি দেওয়া হয়েছে; যার ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট একদম জাল, ফুটপাত থেকে বানানো, সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং তা কোনো স্থানীয় চেয়ারম্যান বা পৌর মেয়র কর্তৃক প্রদত্ত নয়! শুধু তাই নয়, ২০২২ সালের নামজারিতে ২০০৯ সালের হাতে লেখা সম্পূর্ণ এনালক পদ্ধতির ওয়ারিশিয়ান সার্টিফিকেট লাগিয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে খারিজ করে দেওয়ার কূ-কীর্তি আছে সার্ভেয়ার বক্কর ও ভারপ্রাপ্ত কানুনগো শাখাওয়াতের! সেবাপ্রার্থী লোকজনের মুখ থেকে জানা যায়Ñ ‘তারা এখানে আসছে শুধু টাকা কামাতে, এখান থেকে যা পারে কামিয়ে নিয়ে অন্য কোথাও বদলি হয়ে যাবে’।


একই কাগজ বা দলিল পর্চা দিয়ে আবেদনকৃত বহু নামজারি কেইস বাতিল হয়েছে শুধুমাত্র নির্ধারিত ঘুষের টাকা না দেওয়ার কারণে। সেই একই কাগজপত্র ও দলিল পর্চা দিয়ে পূনরায় আবেদন করে যথাযথভাবে সার্ভেয়ার কানুনগো নির্ধারিত ফি পরিশোধে খারিজ ডেলিভারি নেওয়ার নজির আছে শত শত! তাদের সেই নির্ধারিত ফিস গ্রহণের জন্য আছে নিজস্ব জনবল ও গোপন হিসাবের খাতা। সে খাতা এবং নগদ টাকা জমা রাখেন সিন্ডিকেট বাহিনির খোকন নামের এক চতুর সদস্য। যিনি নন অফিসিয়ালম্যান হয়েও বীরদর্পে নিত্য অফিস করেন সার্ভেয়ার ও কানুনগো’র নির্দেশে! খোকন নামের এই ছেলেটিই; যাকে ধামরাই এসিল্যান্ড অফিসে মাষ্টাররুলে চাকরি করাবস্থায় দুর্নীতির দায়ে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিলো! সেই ছেলেটিই কিনা আবারও আশুলিয়া এসিল্যান্ড অফিসে! ভাবা যায়? নিজেদের লোক সেটিংস এর সুবিধার্থে পুরাতন মাষ্টাররুলে চাকুরীরত লোকদের বিভিন্নভাবে বিতাড়িত করে পাকাপোক্তভাবে গড়েছেন ঘুষ দুর্নীতির আখড়া!


উপরে বর্ণিত অপরাধগুলো খুবই সামান্যতম মনে হবে যদি শোনা যায় কাজের ধরন বুঝে ঘুষের টাকার অংক নির্ধাারণ করে দেওয়া হয়! ডিসিআর ফি সরকার নির্ধারিত ১১৫০ টাকা বর্তমানে অনলাইনে জমা নিলেও নাজির শাখায় এক্সট্রা ৫০০-৭০০ টাকা জমা দিয়ে তারপর আগত ও চলমান জোত খতিয়ান পোষ্টিং নিতে হয়। নামজারির সর্বশেষ ধাপে এসে উক্ত বর্ণিত নামজারির ফি বাদে এক্সট্রা টাকাটা না দিলে জোত খতিয়ান আর পোষ্টিং দেওয়া হয় না। ফলে অনলাইন থেকে ডিসিআর এর ১১৫০ টাকা জমাদানের যে সরকারি ম্যাসেজ, তা আর গ্রাহকের মোবাইলে আসে না! কয়েকদিন পরে গ্রাহক জানতে পারে, পেন্ডিং জটিলতার কারণে তার নামজারি জমাভাগের প্রস্তাবটি বাতিল করা হয়েছে! এই সমস্যাটি আশুলিয়া এসিল্যান্ডে বর্তমানে মারাত্মক ভয়াবহ ও মহামারীর রুপ ধারণ করেছে! এর সম্পূর্ণ দায়ভার ও দোষ চাপানো হচ্ছে সাধারণ জনতার কাঁধে। বলা হচ্ছে- সময়মত ডিসিআর ফি জমা না দেওয়ায় অটো বাতিল হয়েছে! অথচ, ডিসিআর ফি জমা দেওয়ার কোনো ম্যাসেজ-ই আসেনি। মূলত অফিসের সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসাবে কানুনগো সাহেব যাকে যেখানে যেভাবে সেটিং করে দিয়েছে, সে সেভাবেই তাদের সিন্ডিকেটের কাজ নিয়ে ব্যস্ত, জনগণের কথা ভাবার মতো সময় তাদের নেই। সে জন্য নেজারত শাখায় ঢুকলেই দেখা যায়Ñ এখানে কেউ হয়তো কাজ করতে আসেনি, মনে হয় সবাই বিকাশ, রকেট ও নগদের ডিলারশীপ নিয়ে দিব্যি ব্যবসা করছেন!


সার্ভেয়ার ও কানুনগো’র সাথে কাজ করা একজনের সাক্ষাৎকারে জানা যায় (যা গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত), ভূমি সহকারী কর্মকর্তাসহ পুরো এসিল্যান্ড অফিসটাকে আঙ্গুলে তুলে নাচাচ্ছেন কানুনগো শাখাওয়াত সাহেব একাই! উনার সামনেই নাকি শাখাওয়াত সাহেব একদিন এসিল্যান্ডকে বলেছেনÑ আপনার কিছু বোঝার দরকার নাই, অফিস কিভাবে চালাতে হয়, আপনে শুধু দেখবেন। এসিল্যান্ড স্যার খুব ভালো ও সরলসোজা হওয়ার জন্যে সার্ভেয়ার-কানুনগো’রা তার মাথায় কাঁঠাল ভেঙ্গে খেতে পারছে। 

তার ওপেন সিক্রেট কথায় জানালো সার্ভেয়ার ও কানুনগো’র টেবিলে বিভিন্ন কাজের রেট। বি আর এস খাস দাগ ১৫ হাজার টাকা, এস এ, আর এস ৮নং রেজিস্টার দাগ হলে ১৫ হাজার টাকা, এল এ দাগ ৫ হাজার থেকে ৭ হাজার টাকা, খ তালিকা হলে ৩ থেকে ৫ হজার টাকা, নির্ভেজাল প্রতি পিছ কাজের রেট ১ হাজার টাকা!


তাদের ঔদ্ধোত্বপূর্ণ আচরণ ও অহমিকামূলক কথাবার্তায় বোঝা যায়; তারা আশুলিয়া এসিল্যান্ড অফিসে রাজ করতে এসেছে, লুট করতে এসেছে, শোষন করতে এসছে! তারা কোনো পাবলিক সেবা দিতে আসেনি! সাধারণ ভূমি জোতদারগণ সেবা পেতে এসে ক্ষীপ্ত ও ক্ষুব্ধ হয়ে বাড়ি ফিরছেন। রাগে ক্ষোভে কেউ কেউ সার্ভেয়ার ও কানুনগো অপসারনের জন্য মানববন্ধন ও সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইতোমধ্যে আশুলিয়াবাসীর পক্ষ থেকে বেশ কিছু আইনজীবীর মাধ্যমে এই সার্ভেয়ার বক্কর ও কানুনগো শাখাওয়াত নামক কসাইদের অপসারনের জন্য ঢাকা জেলা প্রশাসক বরাবর সরাসরি অভিযোগ করেছেন।


আশুলিয়ায় বাংলা টিভির ৬ষ্ঠ বর্ষে পর্দাপণ উপলক্ষে র ্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত



আশুলিয়া প্রতিনিধিঃ

আশুলিয়ায় বাংলা টিভির ৬ষ্ঠ বর্ষে পর্দাপন উপলক্ষে র্যালী ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয় গ্লোবাল টেলিভিশনে সাভার উপজেলা প্রতিনিধি তোপাসানির সঞ্চালনায় বাংলা টিভির আশুলিয়া প্রতিনিধি খন্দকার আলমগীর হোসেন নিরবের সভাপতিত্বে- উক্ত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ ফারুক হাসান তুহিন উক্ত অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সাভার উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মোঃ শাহাদাত হোসেন খাঁন আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া থানা জাতীয় শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক লায়ন মোঃ ইমাম হোসেন, চ্যানেল ২৪ ঢাকা জেলা প্রতিনিধি অপু ওহাব সহ সাভার আশুলিয়া কর্মরত ইলেকট্রনিক ও প্রিন্ট মিডিয়ার বিভিন্ন ব্যক্তিবর্গ রাজনৈতিক ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দের উপস্থিতিতে আনন্দ রেলী ও  আলোচনা সভা শেষে কেক কাটার মধ্যে দিয়ে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন। 

Sunday, June 19, 2022

আশুলিয়ায় জয়নাল গংয়ের নেতৃত্বে সুমন মীরের ডিস লাইন বিচ্ছিন্ন

 


নিজস্ব প্রতিনিধি : আশুলিয়ার ইয়ারপুর ইউনিয়ন জামগড়া ধীরোজ গার্মেন্টস এর  পিছনে মোঃ সুমন হোসেন মীরের ডিস ও ইন্টারনেট লাইনের বৈধ সংযোগ আবারও কর্তন করেন জয়নাল ও মোকলেছের নেতৃত্বে প্রায় ৩০/৪০ জনের একটি দল আজ ১৯ জুন ২০২২ইং রোজ রবিবার দুপুরে দিকে আশুলিয়ার ইয়ারপুরের মোল্লা বাজার ধীরোজ গার্মেন্টস এর পিছনে জয়নাল ও মোকলেছের নেতৃত্বে প্রায় ৩০/৪০ জনের একটি দল জামগড়ার ক্যাবল ব্যবসায়ী মোঃ সুমন হোসেন মীরের বৈধ ডিস ও ইন্টারনেট  লাইনের তার কেটে দেয়।  এ ব্যাপারে ভুক্তভোগী মোঃ সুমন হোসেন মীর জানান আজ দুপুর- ১২টা ১৩ থেকে ২০মিনিটের মধ্যে আমার প্রায় ২০০/৩০০ সংযোগ কেটে দেয় আমি আশুলিয়া থানায় সাধারণ ডাইরি করেছি এবং তদন্ত সাপেক্ষে দ্রুত গ্রেপ্তারের জোর দাবি জানাচ্ছি এ ব্যাপারে মোঃ সুমন হোসেন মীর আরও বলেন মোকলেছ ও জয়নাল এর নেতৃত্বে পুরো জামগড়া এলাকায় ত্রাস এর রাজত্ব চলছে এদের নেতৃত্বে এলাকায় মারামারি হানাহানি লেগেই থাকে, আমরা সাধারণ মানুষ এ ধরনের অপরাধীদের হাত থেকে মুক্তি চাই এবিষয়ে স্থানীয় বেশ কয়েকজনের কাছে জানতে চাইলে স্থানীয়রা বলে জয়নাল, মোকলেছ ও তার ছোট ভাই রুবেলের নেতৃত্বে ইয়ারপুর ইউনিয়ন ১নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ক্রীড়া ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক মোঃ রনির বাসায় গিয়ে রনির উপর হামলা চালায় এবং ৩ লক্ষ টাকা নিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায় ঐ বিষয়ে মোকলেছ, জয়নাল ও রুবেল সহ ১৫/২০ জনের নামে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা হয়েছে মামলা নং ৪০/৪২৮ ঐ মামলায় কদিন আগেই তাহারা জামিনে এসেছে,জামিনে এসে আবারও এলাকায় মারামারি হানাহানি শুরু করেছেন। এলাকায় ওদের নেতৃত্বে সবসময় মারামারি হানাহানি কাটাকাটি লেগেই থাকে আমরা সাধারণ মানুষ ওদের বিরুদ্ধে কথা বলার সাহস নেই আমাদের। কারণ ওরা খারাপ মানুষ ওদের সাথে আমরা সাহসে শক্তিতে কোনভাবেই পারি না তবে আমাদের একটা-ই দাবি  আমরা এলাকাবাসী এ ধরণের অপরাধীদের হাত থেকে মুক্তি চাই।